মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

আপনি পড়ছেন : রাজনীতি

ওবায়দুল কাদের নিজের বিচার নিজে করবেন নাকি, প্রশ্ন ড. কামালের


DhakaReport24.com || 2019-12-23 16:55:45
 ওবায়দুল কাদের নিজের বিচার নিজে করবেন নাকি, প্রশ্ন ড. কামালের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ওবায়দুল কাদের নিজের বিচার নিজে শুরু করবেন নাকি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার দুপুরে ভিপি নুরের ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে হামলা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এই মঞ্চের অনেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। ডাকসু ভিপির অভিযোগ ছাত্রলীগ এই হামলায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আজ নিজ মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ডাকসু ভিপির ওপর হামলা নিন্দনীয়। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘উনি (কাদের) কি নিজের বিচার শুরু করবেন নাকি? নিজেকে আসামি ঘোষণা করে বিচার করলে একটা কথা হবে।’

ডাকসু ভিপিসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, পেটুয়া বাহিনীর এই হামলার শিকার ছাত্ররা মারা যেত পারত। এখনও মারা যেতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে ড. কামাল বলেন, সংবিধানের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। যেখানে গণতন্ত্র সংবিধানের প্রতিশ্রুতি। আজকে কি গণতন্ত্র আছে? এই প্রশ্ন আমরা রাখছি।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর বুয়েটের আবরার ফাহাদাকে হত্যা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর ডাকসুর ভিপির ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহসীন রশিদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

ঢাকারিপোর্ট২৪.কম/এইচএমএল