হাবিবুর রহমান ১৯৯০ সালে ইউক্রেনে যান। তিনি পরে বিয়ে করেন ইলোনা নামের এক ইউক্রেনীয় নারীকে। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলের মধ্যে ১৮ বয়সী বড় ছেলে তায়িব নিজ দেশ রক্ষায় যুদ্ধে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান।
মাত্র ১৮ বছর বয়সের ছেলের যুদ্ধে যাওয়া প্রথমে মানতে পারেননি হাবিবুর ও ইলোনা। তখন ছেলে তায়িব তাদের ইউক্রেনের আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
যুদ্ধে অংশগ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে তায়িব বলে যান, যুদ্ধে বিজয়ী হলে বীরের মতো ঘরে ফিরে আসবো, নয়তো আমার মৃতদেহ। তায়িব ইউক্রেনের ইরপিন এলাকায় রাশিয়ার একটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস এবং রাশিয়ান চার সেনাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা। এক রুশ সেনাকে আত্মসমর্পণও করিয়েছেন তায়িব। বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত এই তরুণকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন তার স্বজনরা।
৩২ বছর আগে ইউক্রেন যাওয়া হাবিব দেশ থেকেই সম্পন্ন করেছিলেন তার স্নাতক পর্ব। ইউক্রেন থেকে ইউরোপের অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শেষপর্যন্ত ইউরোপেই থিতু হন হাবিবুর। সেখানে কাপড়ের ব্যবসা করেন হাবিবুর।
পরে পরিচয় হয় ইলোনার সঙ্গে। কিছুদিন পর তাকেই বিয়ে করেন হাবিবুর। তায়িবের ছোট আরেকজন ছেলে আছে হাবিবুরের। তার নাম মোহাম্মদ করিম। তায়িব কিয়েভের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন।
ঢাকারিপোর্ট২৪.কম/এনআই/আরএএম