ভারতকে রাশিয়ার ওপর কৌশলগত নির্ভরশীলতা কমানোর আহ্বান জানানো এবং এছাড়া নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত সফরে এসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। জানা যায়, ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে মূলত তার আগমন।
তবে ট্রাসের এই সফরের একদিন আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তার সফরের উদ্দেশ্য হলো ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা।
যদিও তার লাভরভের সাথে লিজ ট্রাসের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তারা উভয়েই একই সময়ে ভারতে থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত দেয় কীভাবে ভারতকে চারদিক থেকে প্ররোচিত করা হচ্ছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের এই সফরে শুক্রবারের আলোচনায় ভারত কীভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে আরও সস্তায় তেল কিনতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা যায়।
আর গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে একটি যৌথ কৌশলগত সাইবার অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। এই চুক্তিকে দেশ দুটির মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোয় ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে ট্রাস ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এর আগে ইউক্রেন ইস্যুতে নয়াদিল্লি নিরপেক্ষ থেকেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, তবে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেননি তিনি।
কিন্তু মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলীপ সিং, সতর্ক করেছেন “যেসব দেশ সক্রিয়ভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলি এড়াতে বা ব্যাকফিল করার চেষ্টা করে তাদের পরিণতি হবে খুবই খারাফ।”
ভারতের অবস্থান নিরপেক্ষতার কারণ একটি সেটি হলো মস্কো তাদের বন্ধু, শত্রু নয়। তাই তারা সকলের সাথে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলতে চায়।
ঢাকারিপোর্ট২৪.কম/এএন/আরএএম