মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

আপনি পড়ছেন : ফরিদপুর

ফরিদপুরে আগুনে পুড়েছে বরকত-রুবেলের ১২ বাস


DhakaReport24.com || 2022-03-12 12:16:15
ফরিদপুরে আগুনে পুড়েছে বরকত-রুবেলের ১২ বাস

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৭ জুন পুলিশের অভিযানে বরকত-রুবেলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে দুদক এসব বাস জব্দ করে। এরপর থেকে সেগুলো এখানেই রাখা ছিল। ২২টি বাসের ১২টি বাসে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারিবদ্ধভাবে খোলা জায়গায় রাখা বাসগুলোতে রহস্যজনকভাবে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। পরে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

বরকতের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন বলেন, “আমার স্বামীর মানিলন্ডারিং মামলায় গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের বাসসহ মোট ৫৫টি গাড়ি আদালতের নির্দেশে সিআইডি জব্দ করে। এর মধ্যে ১২টি বাস ফরিদপুরের গোয়ালচামট বিদুৎ অফিসের সামনে একটি শেডের নিচে রাখা ছিল। এই ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লাম। বিষয় নিয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।”

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।

ফরিদপুরে সিআইডি ইন্সপেক্টর নাসির হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অবশ্যই সিআইডি কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। তবে যেহেতু মামলার তদন্ত আমরা ফরিদপুর সিআইডি করছি না সে কারণে আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে পারছি না।“

২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ী সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তিনি।

ওই ঘটনায় ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন বরকত ও রুবেল। তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের খবর এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে, বেশ কয়েকটি মামলাও হয়।
অর্থপাচারের অভিযোগে ওই বছর ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

তদন্ত শেষে গতবছরের ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন বরকত ও রুবেল। ওই ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বরকত ও রুবেল বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন।

এছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করেও অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন: এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরোর মালিক তারা। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের মধ্যে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছেন বলে সিআইডির অভিযোগ।

১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরের এক আইনজীবী হত্যার মামলারও আসামি বরকত ও রুবেল।

ঢাকারিপোর্ট২৪.কম/এসএম/আরএএম