মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

আপনি পড়ছেন : বিশ্ব

মিয়ানমারে সন্তান ত্যাজ্য করার হিড়িক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
DhakaReport24.com || 2022-02-07 20:28:00
মিয়ানমারে সন্তান ত্যাজ্য করার হিড়িক
সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমারে গত তিন মাস ধরে প্রতিদিন রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছয় থেকে সাতটি পরিবার তাদের ছেলে, মেয়ে, ভাতিজি-ভাতিজা, ভাগ্নি, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। 

জান্তা সরকারের ভয়েই পরিবারগুলো এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্কচ্ছেদের পর এই সন্তানরা প্রকাশ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার শাসনের বিরোধিতা করেছেন। তাদের অনেকে এখন দেশ ছেড়েছেন অথবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।

এক বছর আগে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং প্রতিবাদকারীদের যারা আশ্রয় দিচ্ছেন তাদের গ্রেফতারের ঘোষণা দেয়। সেনাবাহিনীর এই ঘোষণার পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্রে প্রত্যেক দিনই সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছেন অভিভাবকরা। ওই ঘোষণার পর বেশ কিছু বাড়িতে অভিযানও চালায় সামরিক বাহিনী।

মিয়ানমারে সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের সম্পর্কচ্ছেদের অন্তত ৫৭০টি বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। দেশটির সাবেক গাড়ি বিক্রয়কর্মী লিন লিন বো বো তাদের একজন এবং তিনিও সামরিক শাসনের বিরোধী সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।

১৯৮০ দশকের শেষ দিকে ও ২০০৭ সালের অস্থিরতার সময়ও বিরোধী আন্দোলনকারীদের পরিবারগুলোকে লক্ষ্যস্থল করা কৌশল নিয়েছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। কিন্তু গত বছর ক্ষমতা দখল করার পর থেকে তারা এই কৌশল আরও ঘন ঘন ব্যবহার করছে বলে দেশটির এক মানবাধিকার কর্মী জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী একটি শহরে থাকা ২৬ বছর বয়সি লিন লিন বো বো রয়টার্সকে জানান, সেনাবাহিনীর লোকেরা তার খোঁজে তাদের বাড়ি গিয়েছিল। মায়ের কাছ থেকে লিন এ কথা জানতে পারেন। তার মা তাকে জানান ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন তিনি। এর কিছুদিন পরে লিন পত্রিকায় নোটিশ দেখতে পান। সে নোটিশ দেখে তিনি অনেক কেঁদেছেন বলে জানান।

রয়টার্সকে লিন বলেন, ‘আমার কমরেডরা আমাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে বলেছে—পরিবারের জন্য চাপের মুখে এমন কাজ করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি মানতে পারছিলাম না, আমার মনটা ভেঙে গিয়েছিল।’

রয়টার্সের পক্ষ থেকে লিনের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।